বেলি ফুল চাষ পদ্ধতি
বেলি ফুল চাষ পদ্ধতি : বাংলাদেশের অধিকাংশ উৎসব-অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত ফুলের তোড়া ফুলের মালা তে সুগন্ধি ফুল হিসেবে বেলি ফুলের কদর আছে । উৎসব অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয় এই বেলি ফুল । এটি একটি অর্থকারী ফুল ।
তিন জাতের বেলিফুল দেখা যায়
- অধিক গন্ধযুক্ত
- মাঝারি আকারের ধরনের
- বৃহদাকার ধরনের
বংশবিস্তারের
- গুটি কলম
- দাবা কলম
এই দুইটি পদ্ধতির মাধ্যমে বংশবিস্তার করা যায় ।
বেলে মাটি ও এটেল মাটি ব্যতীত সব ধরনের মাটিতে বেলি ফুল চাষ করা যায় । জমিতে পানি সেচ ও পানি নিকাশের ব্যবস্থা থাকা ভালো ।
জমি চাষ
মই দিয়ে এবং জমি সম্মান করতে হবে । জমি তৈরির সময় জৈব সার ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হবে ।চারা লাগানোর পর ইউরিয়া প্রয়োগ করে পানি সেচ দিতে হবে । এক সারী থেকে অন্ন সারির দূরত্ব 50 সেন্টিমিটার হবে ।
চারা লাগানোর জন্য গর্ত খুঁড়ে গর্তে জৈবসার মাটিতে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করতে হবে । এরপর প্রতি গর্তে বেলির কলম বসাতে হবে । বর্ষায়ও বা বর্ষা শেষের দিকে কলম বসালে ভালো । তবে শেষের ব্যবস্থা ভালো হলে বসন্ত কালে কলম তৈরি করা যায় ।
পরিচর্যা
বেলি ফুলের চাষের জমিতে সব সময় ছেঁচ দেওয়ার থাকা দরকার । গ্রীষ্মকালে দশ বারো দিন পর পর শীতকালে 15 দিন পর পর বর্ষাকালে বৃষ্টি সময় মত না হলে জমির অবস্থা বূজে ছেঁচ দিতে হবে । নিয়মিত আগাছা দমন করতে হবে । খড় কেটে কুচি করে জমিতে বিছাই দিলে সেচের প্রয়োজন কম হয় এবং আগাছা জন্মাতে পারে না ।
অঙ্গ ছাঁটাই করন
প্রতিবছর বেলি ফুলের গাছের ডালপালা ছাঁটাই করা দরকার । শীতের মাঝামাঝি সময়টায় করতে হবে মাটির উপরে স্থান থেকে 30 সেন্টিমিটার উপর বেলি ফুলের গাছ ছাটাই করতে হবে । এরপর জমিতে সার প্রয়োগ করতে হবে।
রোগ বালাই ব্যবস্থাপনা
বেলি ফুল গাছের ক্ষতিকারক কিট তেমন দেখা যায় না । তবে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে এদের আক্রমণে পাতায় সাদা আস্তরণ পড়ে আক্রান্ত পাতাগুলো কুঁকড়ে যায় ও গোল হয়ে পাকিয়ে যায় । গন্ধক গুরা বা গন্ধক গঠিত মারক নাশক যেমন সালটেপ ইত্যাদি পাতায় ছিটিয়ে মাকড় দমন করা যায় ।
ফলন ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত গাছে ফুল ফোটে । ফলন প্রতি বছর বাড়ে । সাধারণত পাঁচ বছর পর গাছ কেটে ফেলে নতুন চারা লাগানো হয় ।